পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এ ঘটনায় ইউনাইটেড স্টেট জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) প্রথমে একটি সুনামির সতর্কতা জারির কথা বললেও পরবর্তীতে এই হুমকি কেটে গেছে বলে জানায়।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৬১ কিলোমিটার (৩৮ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল কাইনান্টু শহর থেকে প্রায় ৬৭ কিলোমিটার দূরে।

এতে পাপুয়া নিউ গিনির কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভবনগুলোর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে রাজধানী পোর্ট মোরেসবির ৩০০ মাইল দূর পর্যন্ত ব্যাপকভাবে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় উচ্চভূমি শহর গোরোকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতির ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের সময় দেয়াল এবং জানালার ছাউনিতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।ভূমিকম্পের কেন্দ্রের সবচেয়ে কাছের লা ও মাদাংয়ের স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএফপিকে জানায়, আগের ভূমিকম্পের তুলনায় এই কম্পন অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও আগে, পাপুয়া নিউ গিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ এর ওপর অবস্থিত। ফলে এই দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ২০০৪ সালে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে একটি সুনামি হয়েছিল। এতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারসহ সমগ্র অঞ্চল জুড়ে ২ লাখ ২০ হাজার জন মারা যায়।